
কুমিল্লা নগরীর তীব্র যানজট নিরসন এবং সড়ক পথে চরম বিশৃঙ্খলা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। বক্তারা নগরীতে ভয়াবহ যানজটের জন্য অতিরিক্ত সংখ্যক অটোরিকশা চলাচল এবং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, কুমিল্লা নগরীতে মাত্র ১০ হাজার অটোরিকশার ধারণক্ষমতা নেই, অথচ বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার অটোরিকশা চলাচল করছে। তাদের দাবি, কিছু অসাধু ব্যক্তির অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের কারণেই নগরীকে যানজটমুক্ত করা হচ্ছে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য হিউম্যান সোসাইটির চেয়ারম্যান মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, কুমিল্লা ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক গোলাম মোহাম্মদ সামদানী এবং ‘যানজট মুক্ত কুমিল্লা চাই’-এর আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল হাসানসহ অনেকে।
বক্তারা আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জেলা প্রশাসক অটোরিকশার সংখ্যা কমিয়ে ৭ হাজারে নামিয়ে আনার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনকে ‘উদাসীন’ বলে অভিযুক্ত করা হয়। প্রধান সড়কের পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ এবং যত্রতত্র পার্কিংকেও যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন তারা।
১০ দফা দাবিতে টাস্কফোর্স গঠনের আহ্বান:
সমাবেশ থেকে কুমিল্লা নগরীর যানজট নিরসনে অবিলম্বে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে বৃদ্ধি করতে হবে।
- সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
- যাত্রী ওঠা-নামার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দিতে হবে।
- চুরি ও ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের টহল টিম বাড়াতে হবে।
- বেহাল সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।
- ঘোষিত দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি দ্রুত তাদের এই যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।









