
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় কুমিল্লা নগরীর বাজারে কমেছে প্রায় সব ধরনের শাকসবজির দাম।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে কুমিল্লার রাজগঞ্জ-চকবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
এদিকে রোজার বাকি ১৫ দিনেও কম সময়।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই মাস আগেও যে আলু ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে তা এখন ১৫/২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, গোল বেগুন ৩৫-৫০ টাকা, ফুলকপি ২০-৩০ টাকা পিস, একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি।
এছাড়া শালগম ১৫-২৫ টাকা, শিম ৩০-৪০ টমেটো ২০-৩০, করলা ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ২৫-৪০ টাকা, শসা ৩০-৪০, মুলা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।
কিছুদিন আগেও ২০ টাকার নিচে কোনো শাক পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে এখন ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন শাকের আঁটি।
এর মধ্যে পালং শাক ১০-১৫ টাকা, লাল শাক আঁটি ১০ টাকা, ডাটা শাক ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, বথুয়া শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও কাাঁচামরিচও। মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০-৭০০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।
নতুন রসুন বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমেছে। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকায়। তবে পুরোনো শুকনা ও আমদানি করা রসুন ২৩০ টাকার উপরেই বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও নতুন আদা ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তবে আসন্ন রমজান ও সরবরাহ সংকট দাবি করে নতুন করে বাড়ছে লেবুর দাম। বর্তমানে আকার ও জাতভেদে প্রতি ডজন লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৮০ টাকা পর্যন্ত। আর এক হালি লেবুর জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত।
অন্যদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া বাড়তি দামেই প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০-৮৪ টাকা, ব্রি-২৮ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।