বুধবার ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

Rising Cumilla - Memorandum demanding upgrading Comilla General Hospital to 250 beds
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে স্মারকলিপি/ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা এবং হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক কুমিল্লা।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সংগঠনের সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও অংশ নেয়।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার ও সিভিল সার্জন আলী নূর মো. বশির আহমেদ বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপি প্রদানকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবিক কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সংগ্রামী সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সম্মানিত সভাপতি, জনপ্রিয় চিকিৎসক নেতা এবং বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন ডা. মিনহাজুর রহমান তারেক এবং কুমিল্লা মহানগর যুবদলের বিপ্লবী আহ্বায়ক ফয়সাল উর রহমান পাভেল।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক রোগী সেবা নিতে আসেন। কিন্তু রোগীর সংখ্যা এবং চিকিৎসক বাড়লেও অবকাঠামো বৃদ্ধি পায়নি। ফলে হাসপাতালটি অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে করে বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা।

মানবিক কুমিল্লা মূল দাবিগুলো তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে:

হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা: রোগীর চাপ কমাতে এবং পর্যাপ্ত শয্যা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি।

পরিচ্ছন্ন হাসপাতাল নিশ্চিত করা: রোগীদের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

সার্বক্ষণিক জরুরি সেবা চালু রাখা: আইসিইউ, সিসিইউ এবং এনআইসিইউ-এর মতো জরুরি সেবাগুলো সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

দালাল চক্র নির্মূল: হাসপাতাল থেকে দালাল চক্রকে নির্মূল করে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

সেবার মান বৃদ্ধি: অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানো এবং রোগীদের খাবারের মান উন্নত করা।

অন্যান্য সেবা: রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং নির্বিঘ্ন অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিশ্চিত করা।

সংগঠনটি তাদের দাবির পক্ষে ‘চিকিৎসা সেবা আমার অধিকার’ এবং ‘স্বাস্থ্যসেবা আমার নাগরিক অধিকার’ স্লোগানগুলো তুলে ধরেছে।

আরও পড়ুন