
কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কের সদর দক্ষিণ এবং লালমাই উপজেলার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ বেতার এলাকায় গত বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত ভোর রাত প্রায় ৩টায় একটি মশাল মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এই মিছিলটি করা হয় ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির সমর্থনে।
মিছিলটিতে সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। যদিও সদর দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিন হোসেন এবং লালমাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রাব্বি সরাসরি মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না, তবে সূত্র জানায়, তারা নিরাপদ স্থানে থেকে এই মিছিলটির দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং সফলভাবে সম্পন্ন করিয়েছেন।
ওই সময়ে সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন অটোরিকশার চালক স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, মধ্যরাতে হঠাৎ করেই জামান ফিলিং স্টেশন ও আরএফএল ফ্যাক্টরির গলি থেকে মুখোশ পরিহিত কিছু লোক বেরিয়ে আসে। তাদের হাতে ছিল ব্যানার ও মশাল। তারা মিছিল শুরু করে।
ব্যানারটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং তার কন্যা নাফিসা কামালের ছবি দেখা গেছে। এছাড়াও, মিছিলের পক্ষে কিছু লোক লালমাই বাজার মোড়ে এবং কিছু লোক লোটাস কামালের বাড়ির সামনে অপেক্ষমাণ ছিল বলে জানা যায়।
মিছিলের বিষয়ে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বক্তব্য দেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে মিছিলটি লালমাই থানা এলাকায় হয়নি, বরং বাংলাদেশ বেতার এলাকাটি সদর দক্ষিণ এলাকায় পড়েছে।
তবে ওসি মো. শহিদুল ইসলাম এও জানান, ঘটনা যে থানাতেই হোক, পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারী সকলের ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে এবং গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।









