
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট ছাড়াই জয়ের পথে বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্রার্থীরা। গতকাল বুধবার মনোনয়ন ফরম জমা ও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে ১৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিজয়ী হতে যাচ্ছেন তারা।
বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী মফিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বুধবার বিকেলে যাচাই-বাছাইয়ে ১৫ জনের মনোনয়ন বৈধ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ চারটি পদে দুজন করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ এবং ইসলামী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আইনজীবীরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রতিটি পদে একজন করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময়। যেহেতু কোনো পদে একাধিক প্রার্থী নেই, তাই সেদিন তাঁদের বিজয়ী ঘোষণা করা হতে পারে।
এরআগে সোমবার কুমিল্লা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়।
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে,
নির্বাচনে জয়ের পথে রয়েছেন যারা– সভাপতি পদে মো. শহিদুল্লাহ, সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম, এরশাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক, কোষাধ্যক্ষ মুজিবুল ইসলাম, লাইব্রেরিবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন পাখি, এনরোলমেন্ট সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ, রিক্রিয়েশন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, আইটি সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং সদস্য পদে ওবায়েদ উল্লাহ সরকার, শরিফুল ইসলাম, কামরুল হাসান সুমন, মু. সলিমুল্লাহ খান ও মো. মাসুদ।
তপশিল অনুসারে, মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল গত মঙ্গলবার, প্রত্যাহার ২৩ ফেব্রুয়ারি, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২৪ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৬ মার্চ এ নির্বাচন হবে। এবার মোট ভোটার ১ হাজার ২১০ জন। কিন্তু একজন করে প্রার্থী থাকায় প্রার্থীরা জয়ের ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন।
এরআগে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে একসঙ্গে সবাই বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই বলে জানিয়েছেন একাধিক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। সর্বশেষ গত বছররে ৭ মার্চ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ সেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মোট ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টিতে আওয়ামী লীগপন্থীরা জয়লাভ করেন। বাকি পাঁচটিতে বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগ–সমর্থিত আইনজীবীদের কেউই এ বছর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।