শনিবার ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

কুমিল্লা অঞ্চলের ১৯ জন শাখা ব্যবস্থাপককে অনুপ্রাণিত করল ন্যাশনাল ব্যাংকের “ম্যানেজার্স মিট”

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কুমিল্লা অঞ্চলের ১৯ জন শাখা ব্যবস্থাপককে অনুপ্রাণিত করল ন্যাশনাল ব্যাংকের “ম্যানেজার্স মিট”/ছবি: মিডিয়া রিলিজ

ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি গত (২৩ অক্টোবর) কুমিল্লা অঞ্চলের ১৯টি শাখার ব্যবস্থাপকবৃন্দকে নিয়ে একটি প্রাণবন্ত ও ফলপ্রসূ “ম্যানেজার্স মিট” আয়োজন করে। সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল শাখাগুলোর সার্বিক পারফরম্যান্স পর্যালোচনা, কার্যকরী অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি ও গ্রাহকসেবার উৎকর্ষ নিশ্চিতের লক্ষ্যে নতুন কৌশল নির্ধারণ।

দিনব্যাপী এ আয়োজনটি নেতৃত্ব, অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারার এক সুন্দর সমন্বয় তৈরি করে, যেখানে উন্মুক্ত আলোচনা, দলীয় সমন্বয় এবং ভবিষ্যৎমুখী কৌশলের মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যক্রম ও সামগ্রিক ব্যবসায়িক গতি আরও শক্তিশালী করার দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আদিল চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ও এসভিপি জনাব মোহাম্মদ তৌহিদুল করিম এবং কুমিল্লার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ ইস্কান্দার আলী ফকির সহ কুমিল্লা অঞ্চলের সকল শাখা ব্যবস্থাপক ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা ব্যাংকের পরবর্তী প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য চারটি কৌশলগত অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেন- উদ্ভাবনী ডিপোজিট সংগ্রহ, দক্ষ ঋণ পুনরুদ্ধার, আমদানি ব্যবসার সম্প্রসারণ, এবং সেলস ও মার্কেটিং কার্যক্রমের উন্নয়ন। এই চারটি ক্ষেত্রকেই ন্যাশনাল ব্যাংকের টেকসই সাফল্য, স্থিতিশীলতা ও গ্রাহককেন্দ্রিক উৎকর্ষতার মূল ভিত্তি হিসেবে পুনঃনিশ্চিত করা হয়।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আদিল চৌধুরী শাখা ব্যবস্থাপকদের নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে বলেন, “আপনারাই ন্যাশনাল ব্যাংকের অগ্রগতি, স্থিতিশীলতা ও সুনামের চালিকাশক্তি।”

তিনি উল্লেখ করেন, আধুনিক ব্যাংকিংয়ের সাফল্য শুধু সংখ্যায় নয়—বরং নেতৃত্ব, সততা এবং উদ্ভাবনী চিন্তার ওপর নির্ভর করে।

তিনি বলেন, “ব্যাংকিং খাত এখন দ্রুত পরিবর্তনের পথে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে আমাদের সাহসী চিন্তা, দায়িত্বশীল পদক্ষেপ এবং নিরবচ্ছিন্ন উদ্ভাবনের পথে এগোতে হবে। প্রতিটি সিদ্ধান্তে আমাদের মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে এবং গ্রাহকের আস্থা আরও দৃঢ় করতে হবে।”

তিনি শাখা ব্যবস্থাপকদের উদ্দেশে আরও বলেন, “চিন্তায় আনুন বিস্তৃতি, সততাকে করুন অভ্যাস, চ্যালেঞ্জের মাঝেও থাকুন ইতিবাচক, আর প্রতিটি উদ্যোগে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন থাকুন।”

তিনি উল্লেখ করেন, এই চারটি গুণই টেকসই নেতৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতার ভিত্তি গড়ে তুলবে।

সভা শেষে অংশগ্রহণকারী সকল শাখা ব্যবস্থাপক ন্যাশনাল ব্যাংকের সততা, উদ্ভাবন ও গ্রাহকআস্থাভিত্তিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন