কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ খামারী এবং গৃহস্থদের মাঝে গবাদিপশুর খাদ্য ও জরুরি ভেটেরিনারি সেবা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদ এবং ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ১৪০ জন খামারি ও গৃহস্থের মাঝে ২৫ কেজি করে রেডি ফিড বিতরণ করা হয়। এছাড়াও উপজেলার শশীদল, চান্দলা ও মালাপাড়া ইউনিয়নে ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এক লাখ টাকার ঔষধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইসমাইল হোসেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইজমাল হাসান।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা: মো. শফিউল আলম, ডা: খ:ইয়াছির আরাফাত, ডা: রবিউস সানি সাদি, কৃষিবিদ আবু শিহাব বিন সিদ্দিক, ডা: মো: মাহমুদুর রহমান, ডা: মো: মিনহাজুল ইসলাম, ডা: তানভীর শাহরিয়ার, মো: শহিদুল ইসলাম, মো: তাওকীর তাজাম্মূল, ডা: মো: ফরিদ হাসান, মো: আবু হানিফ, তানভীর মাহতাব তারিফ, ডা: তাছমীর রাইয়ান লাবিব, ডা: আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদ, ডা: উজ্জ্বল সরকার, ডা: মো: মোরশেদুর রহমান হিরা, মো: পিয়ারুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান রকি, মো: জাকারিয়া, মো: মাহবুব হাসান রিফাত, সৌরভ সূত্রধর, ডা: হাসানুল হক ইমন, ডা. মো: মঈনুল কবির বিজয় প্রমুখ।
গবাদিপশু পালনকারী খামারি ও গৃহস্থরা বলেন, গোমতী ও সালদা নদীর বাঁধ ভেঙে এ উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছিল। এতে এ উপজেলায় গবাদিপশুর খাদ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে এবং অনেক পশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন পশু খাদ্য, চিকিৎসা ও ঔষধ পেয়ে আমরা খুব উপকৃত হয়েছি।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইজমাল হাসান বলেন, ভয়াবহ বন্যায় এ উপজেলার পশু খামারি ও পশু পালনকারী গৃহস্থরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় প্রাণিসম্পদে এ উপজেলায় ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেক পশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত খামারি ও গৃহস্থদের পাশে থেকে এ দুর্যোগ থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে।