কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় সোনাইমুড়ীতে পপি আক্তার (১৭) নামে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করতে না পেরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। কিশোরীকে হত্যার আলামত হিসেবে পুলিশ এক টুকরো বাঁশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- উপজেলার মহিষমারা এলাকার ফারুক হোসেন শামীম (২৭) ও একই এলাকার কাশেম হোসেন (৪৪)। বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, ঘটনার দিন গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে স্কুল থেকে বাড়িতে এসে ছাগল চরাতে যায় পপি। এ সময় আসামি ফারুক হোসেন শামীম পপিকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে পপি রাজি না হলে অপর আসামি কাশেম হোসেনের সহায়তায় পপিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় পপি চিৎকার করলে পাশে থাকা একটি বাঁশের টুকরো দিয়ে তার গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ পাশের খালে ফেলে চলে যান তারা। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর একটি হত্যা মামলা করে নিহতের পরিবার। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় খুনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।