সোমবার ১৮ আগস্ট, ২০২৫

কুমিল্লার পাহাড়ি অঞ্চলে প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে তুলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

তুলা গাছ/প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

কৃষিক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলল কুমিল্লায়। এই প্রথম জেলাটিতে পরীক্ষামূলকভাবে তুলা চাষ শুরু হয়েছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষক আবু তাহের তার ৩৩ শতক জমিতে সিবি হাইব্রিড-১, ডিএম-৪ এবং রুপালি-১ জাতের তুলা বীজ বপনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের সূচনা করেছেন।

গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) প্রাথমিকভাবে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের রাজারখলা এলাকায় সকালে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আবু তাহেরের জমি পরিদর্শন করে এই উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং তাকে প্রয়োজনীয় প্রণোদনা প্রদান করেন।

কৃষক আবু তাহের জানান, “আমাদের এই অঞ্চলে আগে কেউ কখনো তুলা চাষ করেনি। শুরুতে কিছুটা ভয় পেলেও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহায়তা এবং প্রশিক্ষণের কারণে আমি চাষে উদ্বুদ্ধ হই। তারা আমাকে উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করেছেন এবং ভবিষ্যতে সার ও কীটনাশক দিয়েও সহায়তা করবেন। এ বছর ৩৩ শতক জমিতে যে ফলন হবে, তা যদি ভালো হয়, তাহলে আগামী বছর আরও বেশি জমিতে তুলা চাষ করার ইচ্ছা আছে।”

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের উপপরিচালক মো. কুতুব উদ্দীন বলেন, “২০৫০ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তুলা চাষ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে কুমিল্লায় প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই চাষ শুরু করা হলো।”

কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তুলা চাষ শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়, বরং এটি পরিবেশ ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে যেসব পতিত জমিতে কোনো ফসল হয় না, সেগুলোতে তুলা চাষ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হতে পারবেন। এছাড়াও, একই জমিতে তুলা চাষের পাশাপাশি অন্যান্য সবজি উৎপাদন করাও সম্ভব, যা কৃষকের আয় বাড়াতে সাহায্য করবে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লায় পরীক্ষামূলক এই তুলা চাষ সফল হলে আগামী মৌসুমে এটি আরও বড় পরিসরে সম্প্রসারিত করা হবে। এই উদ্যোগ কুমিল্লার কৃষিকে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন