
কুমিল্লার মুরাদনগরে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দাখিল না করায় কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে (এসপি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১২ আগস্ট তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৯ জুন হাইকোর্ট কুমিল্লার মুরাদনগরের এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একইসাথে, নির্যাতনের ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলারও নির্দেশ দেন আদালত। ওই আদেশে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক ২৫ বছর বয়সী নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই মুরাদনগর থানায় মামলা করেন। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণের শিকার নারীর নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক নামের আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সবার বাড়ি মুরাদনগর উপজেলায়।