সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লার দেবীদ্বারে পানিতে ডুবে মারা গেল তিন শিশু

Drowning
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় চার ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক তিন স্থানে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

গগতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার বিজলিপাঞ্জার, বড় আলমপুর এবং গুনাইঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

দেবীদ্বারে নিহত তিন শিশু হলো উপজেলার বিজলীপাঞ্জার গ্রামের রঙ মিস্ত্রি অলিউল্লাহর মেয়ে রাইসা আক্তার (৭)। বড় আলমপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন সোহাগের ছেলে আঠারো মাস বয়সী শিশু সালমান এবং গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রামের ইমান্দি ভূইয়া বাড়ির ইউনুস ভূঁইয়ার মেয়ে হাফসা (৫)।

এ তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান।

এ বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিজলিপাঞ্জার গ্রামের বাসিন্দা মো. বাছির উদ্দিন মোল্লা জানান, রাইসাসহ কয়েকজন শিশু এক সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে যায়। অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও রাইসা বাড়ি না ফিরায় তাকে খোঁজাখুঁজি করে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত হাফসা বিজলীপাঞ্জার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়তো।

জানা গেছে, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পৌরসভার বড় আলমপুর গ্রামে পুকুরে ডুবে আঠার মাস বয়সী সালমান নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সালমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবুল হোসেন।

তিনি জানান, শিশু সালমানের মা পুকুরে গোসল করে ঘরে ফিরে এসে দেখেন সালমান ঘরে নেই। পরে পুকুরে সালমানের লাশ ভাসতে দেখে তার মা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এসে সালমানের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে তৃতীয় ঘটনা থেকে জানা গেছে, উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রামের ইমান্দি ভূঁইয়ার বাড়ির পুকুরে ডুবে হাফসা (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোকবল হোসেন মুকুল জানান, দুপুর ১টার দিকে দাদির সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে যায় হাফসা নিখোঁজ হয়। দাদিসহ অন্যরা পুকুরে খোঁজাখুঁজি করে পুকুর থেকে হাফসার লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া বলেন, পৃথক তিন ঘটনায় তিন শিশুর মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।