
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের ত্রিবিদ্যা গ্রামে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শফিউল্লাহ (৩৮) নামের এক ভ্যানচালককে পিটিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাসেল (নাম পরিবর্তিত) পলাতক রয়েছে।
নিহত শফিউল্লাহ ভানী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দীনের ছেলে। অভিযুক্ত রাসেল একই ইউনিয়নের আন্দিরপার গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাসেল এবং শফিউল্লাহর মধ্যে দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল এবং তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন চলত। এক পর্যায়ে রাসেল শফিউল্লাহর কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ধার নেন। সম্প্রতি শফিউল্লাহ সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য রাসেলের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাসেল টাকা পরিশোধের কথা বলে শফিউল্লাহকে তার গ্যারেজে ডেকে আনেন। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। অভিযোগ উঠেছে, এরপর রাসেল তার গ্যারেজে থাকা লোহার রড দিয়ে শফিউল্লাহকে বেদম মারধর করেন। শুধু তাই নয়, হত্যার পর ড্রিল মেশিন দিয়ে নির্মমভাবে শফিউল্লাহর চোখ উপড়ে ফেলেন এবং মৃতদেহটি দোকানের ভেতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নিহত শফিউল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নিহত শফিউল্লাহর স্ত্রী তাসলিমা বেগম।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”