কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় এক স্কুলে পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় মোস্তফা নামের এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল (১ জুলাই) সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল রবিবার রাতে ফতেহাবাদ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মোস্তফা বিকাশ ও মোবাইল ফ্লেক্সিলোড দোকানি। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নয়ন মিয়া।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মোস্তফার দোকানে মোবাইল ফ্লেক্সিলোড করতে আসা-যাওয়া করত। একপর্যায়ে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একটি ভবনের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন মোস্তফা। ধর্ষণের সময় মোবাইলে একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি।
পরে মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করতেন। পরে এ ঘটনা ওই ছাত্রী তার বাবা-মাকে জানালে তার বাবা দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জয়পুর গ্রামের একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গ্রামে মোস্তফার বিকাশ ও মোবাইল ফ্লেক্সিলোড দোকান থাকায় বিভিন্ন নম্বর সংগ্রহ করে ৫/৬ জন মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছেন। লোক লজ্জায় ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি।
এ বিষয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ হয়েছে। সর্বশেষ এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে এবং ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত সাত-আট মাস ধরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন মোস্তফা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে মোস্তফা আমার মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। আমার মেয়ে প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হলে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে। আমি এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া বলেন, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের পর অভিযুক্ত মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মোস্তফাকে আসামি করে থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।