সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মসজিদে নামাজরত ইমামকে ছুরিকাঘাত

Imam was stabbed while praying in a mosque in Chauddagram of Cumilla
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় নামাজরত অবস্থায় রিয়াজুল হক সজীব (২৫) নামে যুবকের ছুরিকাঘাতে হাফেজ মাওলানা মো. বদরুল হাসান (৪২) গুরুতর আহত হয়েছে। পাঁজরের দুইপাশে মারাত্মক জখম হয়েছে তার। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ওই যুবকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজ চলাকালে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের সাতচর উত্তরপাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ইমাম বদরুল হাসান (৪২) ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার হাসেমদিয়া গ্রামের শামসুলের ছেলে। তিনি আলকরা ইউনিয়নের সাতচর রিয়াজুল জান্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করছেন এবং সাতচর উত্তরপাড়া জামে মসজিদে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ইমামতি করছেন।

হামলাকারী রিয়াজুল হক সজীব (২৫) সে একই ইউনিয়নের সাতচর গ্রামের মৃত ছেরাজুল হকের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার মাগরিবের জামাত শেষে সাতচর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম সুন্নত নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় হামলাকারী ইমামের পেছন থেকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করলে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন।

মসজিদের অপর মুসল্লিরা উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফেজ মাওলানা মো. বদরুল হাসানকে (৪২) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সাতচর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি শাহআলম ভূঁইয়া বলেন, হামলার ঘটনা শুনেছি। ইমাম সাহেবের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ন্যক্কারজনক এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব, হযরত মাওলানা মুফতি আব্দুর রহিম বলেন, হামলার ঘটনায় দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি বলেন, ইমামের ওপর হামলাকারী যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার কারণ সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। এ সংক্রান্তে থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বুধবার দুপুরে আটককৃত যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।