শুক্রবার ৮ আগস্ট, ২০২৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অটোচালক সৈকত হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চাঞ্চল্যকর অটোচালক সৈকতকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী তুহিন মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) চৌদ্দগ্রামের বসন্তপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গত ২ জুলাই ২০২৫, ১৯ বছর বয়সী অটোচালক তাফরুল ইসলাম সৈকত সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে তার অটো-মিশুক নিয়ে বের হন। রাতেও তিনি ফিরে না আসায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরদিন, ৩ জুলাই বিকেলে, চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে সৈকতের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর সৈকতের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর র‍্যাব-১১ ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে র‍্যাব হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদারকে (৩২) শনাক্ত করে। দীর্ঘ তদন্তের পর গত ৭ আগস্ট রাতে র‍্যাব চৌদ্দগ্রামের বসন্তপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তুহিনকে গ্রেফতার করে।

র‍্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত তুহিন মজুমদার লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। সে জানায়, তার এবং অন্যান্য আসামীদের সাথে সৈকতের ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুযোগ নিয়েই তারা ১ জুলাই সৈকতকে হত্যা করে তার অটো-মিশুক ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২ জুলাই রাতে তারা সৈকতকে তার অটো-মিশুকসহ বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে গল্প করার এক পর্যায়ে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক তুহিনের নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা চাপাতি দিয়ে সৈকতকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।

সৈকতের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তারা তার অটো-মিশুক, মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা সৈকতের মৃতদেহ খালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত তুহিনকে এখন আইনি পদক্ষেপের জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন