কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় নিজের মেয়েকে বাল্যবিবাহ দিতে গিয়ে ৩০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড পেয়েছেন পিতা। সেইসাথে মেয়ের বাবার কাছ থেকে ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবে না মর্মে মুচলেকা রাখা হয়।
গত শুক্রবার (১৭ মে) কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের নাওতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চান্দিনার মাধাইয়া ইউনিয়নের নাওতলা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী সুমি আক্তারের বিয়ের আয়োজন করে তার পরিবার। শুক্রবার দুপুরে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে সম্পন্ন করা হয় সকল আয়োজন। আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বিয়েবাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মো. সোয়াইব ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন। এসময় সুমির বয়স কম হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।
পরে সুমির পিতা আব্দুল কাদেরকে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি (সুমির পিতা) ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না মর্মে মুচলেকা রাখা হয়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার আ ন ম সাইদুর রহমান জানান, ওই ছাত্রী খুব মেধাবী। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল সে।
এ বিষয়ে ইউএনও জাবের মো. সোয়েইব বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।