চোখকে একটি জীবন্ত অপটিক্যাল ডিভাইস হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। আর এমন একটি ইন্দ্রিয় অঙ্গের সনদধারী চিকিৎসক না হয়েও ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) দিয়ে নিয়মিত চোখের রোগী দেখছেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কাজী মো. এবাদ উল্লাহ নামের ভুয়া চক্ষু চিকিৎসক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রোগীর চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় তাকে আটক করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আটক ভুয়া চিকিৎসক কাজী মো. এবাদ উল্লাহ চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী গ্রামের কাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি কুমিল্লা চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কর্মরত থেকে নিজেকে চক্ষু চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে চেম্বার করে রোগী দেখেন।
জানা যায়, কুমিল্লা চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকের সহকারী কাজী মো. এবাদ উল্লাহ চান্দিনা পশ্চিম বাজার এলাকায় একটি চশমা দোকান প্রতিষ্ঠা করে তার নিকটতম এক আত্মীয়কে নিয়ে সেই দোকান পরিচালনা করেন। সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার তিনি ওই দোকানের পেছনের একটি অংশে নিয়মিত রোগী দেখেন এবং ওই দোকান থেকে ওষুধ ও চশমা বিক্রি করেন।
এ ছাড়াও তিনি সপ্তাহের বাকি ৫ দিন দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে রোগী দেখেন। চিকিৎসাপত্রে চেম্বারের নামসহ অন্যান্য প্রচারপত্র বাংলায় লেখা থাকলেও রোগীদের ধোঁকা দিতে নিজের নাম, পদবি ইংরেজিতে লেখেন তিনি।
এমন নানা অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার।
এসময় চান্দিনা পশ্চিম বাজারস্থ আব্দুল্লাহ চশমা ঘর দোকান মালিককে নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে চান্দিনা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার জানান, চিকিৎসক হিসেবে নিজের কোন পরিচয়পত্র এমনকি চিকিৎসা সেবা প্রদানে তার যোগ্যতার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি এবাদ উল্লাহ। তিনি সপ্তাহে দুই দিন চান্দিনা উপজেলা সদরের একটি দোকানে চেম্বার করেন। প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০জন রোগী দেখেন এবং রোগীদের কাছ থেকে ফি নেন। মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ অনুযায়ী তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।