কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় যুবলীগ নেতা তানভীর আহমেদ ভূঁইয়াকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর দাবি, মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে গৃহবধূর স্বামী তানভীরকে মারধর করেন। এতে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহত তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামীকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া একই ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বাবুল ভূইয়ার ছেলে। তিনি বাড়েরা ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সহ-সভাপতি।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে বুধবার সকালে গিয়ে নিহত তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল যেখানে সেই এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। তারপরও এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় কেউ কিছুই জানে না বলে জানায়। তবে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
রাবেয়া নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ জানান, রাত ২টায় তানভীর তার ঘরে ঢোকে এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার স্বামীর সঙ্গে তানভীরের ধস্তাধস্তি ও মারমারির ঘটনা ঘটে। তার স্বামী তানভীরকে মারধর করলে অচেতন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সে মারা যায়।
এ বিষয়ে নিহত তানভীরের মা নিলুফা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই নারী যা বলছেন তা মোটেও সত্য না। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এ বিষয়ে বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, হত্যাকাণ্ডটি সন্দেহজনক। এ নিয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলছে না।’
এ বিষয়ে চান্দিনা থানার এসআই সুজন দত্ত বলেন, নিহত তানভীরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও পায়ে কাটা চিহ্ন আছে। তবে কি কারণে হত্যা করেছে এ বিষয়ে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য উদঘাটন করতে পারিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিমকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।