
নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মনির্ভরতা ও সামাজিক উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার কালিকাপুর কাজী বাড়ি মাঠে এক নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গতকাল শনিবার বিকেলে আয়োজিত এই সমাবেশে স্থানীয় নারী সমাজ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা জোর দিয়ে নারীদের আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নে সমর্থন দেওয়া, প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণ সুবিধা প্রসার, স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা এবং সামাজিক সহাবস্থান নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলোতে স্থানীয় প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তারা আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সরকারি ও স্থানীয় উদ্যোগের সঙ্গে এনজিও এবং কমিউনিটি লেভেলের সহযোগিতা থাকলে নারীদের স্বনির্ভরতা অর্জন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ দ্রুত বাড়বে। এছাড়া, তথ্য অফিসের মাধ্যমে প্রচারিত লিফলেট, ব্রিফিং ও স্থানীয় সভাগুলো জনগণের মধ্যে দরকারি বার্তা পৌঁছে দিতে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন ছাড়া টেকসই সামাজিক উন্নয়ন সম্পূর্ণভাবে অর্জন সম্ভব নয়। তিনি জানান, নানা সরকারি ও বেসরকারি প্রচেষ্টা, প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ নারীকে অধিকার, স্বাস্থ্য ও আয়ের সুযোগ সম্পর্কে জানানো হচ্ছে এবং তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর হোসেন আহসানুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক। মীর হোসেন আহসানুল কবীর বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ নারীরা এখন বিভিন্ন আয়ের সুবিধা গ্রহণ ও ডিজিটাল সেবায় যুক্ত হতে পারছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তথ্য অফিসের বিভিন্ন প্রচারণা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রামের নারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পল্লী স্বাস্থ্য উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কাজী মাহতাব, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কাজী আবুল কালাম রতন, চৌয়ারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার এবং হাসমতের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাকলী পারভীন।
কুমিল্লার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নারী নেত্রী, শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, নারী উদ্যোক্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।