কুমিল্লা জেলায় আগামী শনিবার (১৫ মার্চ) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১৭টি উপজেলা, একটি সিটি করপোরেশন এবং একটি পৌরসভায় ৫ হাজার ৩৯টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৪২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ বলেন, “ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ক্যাপসুলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। একটি চক্র অসৎ উদ্দেশ্যে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে স্বাস্থ্যখাতের সুনাম নষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে কোনো ধরনের গুজবে কেউ কান দেবেন না। আমরা বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা সব গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে এবং ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে সহায়ক হবে।”
কর্মশালায় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মোহাম্মদ সারোয়ার জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ক্যাম্পেইন চলবে। ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে ১০ হাজার ৭৮ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন।
এদিকে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম জানান, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। যা শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর সুস্থ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি গুজব প্রতিরোধে সোচ্চার থাকার এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যেন কোনো শিশু বাদ না পড়ে সে বিষয়ে যত্নবান হতে সবাইকে আহ্বান জানান।
সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া জানান, “সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ১১৪টি কেন্দ্রে ৫৫ হাজারের বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।”
কর্মশালায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতিমা আক্তারের সঞ্চালনায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের প্রয়োজনীয়তা ও বিভিন্ন গুণাগুণ প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরেন মেডিকেল অফিসার ডা. ফারিয়া জাফরিন আনসারী।
সিটি করপোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. চন্দনা রানী দেবনাথ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট জহিরুল ইসলামসহ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য এবং গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
