কুমিল্লা-৯ (লাকসাম–মনোহরগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা গোলাম সরওয়ার মজুমদারের মারধরের ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের পরিবেশ বিশৃঙ্খল করতে মনোনয়নপত্র কিনতে আসা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মারধরের সাজানো ঘটনায় যে পাঁচ যুবক অংশ নিয়েছে তাদের গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ তাদের আটক করে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কথিত হামলাকারী পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, শুক্রবার কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র নিয়ে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন গোলাম সারোয়ার নামে এক ব্যক্তি। তাকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। গোলাম সারোয়ার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ভাউপুর গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। তিনি সরশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় গোলাম সারোয়ার কুমিল্লা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনির হোসাইনের নিকট লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি জেনে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে অভিনব তথ্য।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত। নির্বাচনী পরিবেশ বিশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পাঁচ জন ব্যক্তিকে দিয়ে এই ঘটনা ঘটায় মারধরে শিকার হওয়া নির্বাচনী মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী গোলাম সারোয়ার। তাকে মারধরের ভিডিওটি ফেসবুকেও ভাইরাল করা হয়। ভিডিও ফুটেজের প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচজনকে কুমিল্লা নগরী থেকে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক পাঁচ যুবক ঘটনার সাথে পরিকল্পিতভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। ঘটনার মূলহোতা গোলাম সারোয়ার সহ অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।