
পবিত্র ঈদ উল আযহা আগামী ৭ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে এ বছর কুমিল্লায় বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট স্থাপন করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী এসব হাটের মেয়াদকাল হবে ঈদের দিনসহ মোট পাঁচ থেকে সাত দিন।
এ বছর কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় মোট ৪০১টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসছে। তবে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এবং বরুড়া পৌরসভা এলাকায় এবার কোনো পশুর হাট বসছে না।
এক নজড়ে দেখে নিন কুমিল্লার কোরবানির পশুর হাটের তালিকা ও তারিখ:
৩১ মে | শনিবার | চান্দিনা বাজার।
চৌয়ারা বাজার। ছয়গ্রাম। |
০১ জুন | রবিবার | কসবা কুটি চৌমুহনী।
চকবাজার। নয়নপুর বাজার। সাহেবাদ বাজার। চন্ডীমুড়া বাজার (লালমাই)| |
০২ জুন | সোমবার | হোমনা ঘাড়মোড়া বাজার।
সুয়াগাজী বাজার। নবাবপুর বাজার।
|
০৩ জুন | মঙ্গলবার | চান্দিনা বাজার।
চৌয়ারা বাজার। ছয়গ্রাম। আমড়াতলি বাজার। কালিরবাজার। |
০৪ জুন | বুধবার | মিরশান্নি বাজার।
চৌদ্দগ্রাম বাজার। নেউরা বাজার। আমড়াতলি বাজার। চাঁনপুর বাজার। বালুতুবা বাজার। ঝালুয়াপারা বাজার। ফকির বাজার। রসুলপুর বাজার। শিবির বাজার। সাহেবাদ বাজার। মুড়ার বাজার । শাহপুর বাজার। মুন্সির বাজার। |
০৫ জুন | বৃহস্পতিবার | বানাশুয়া বাজার।
বিবির বাজার। কালির বাজার। বাজগড্ডা বাজার। সাহেবাদ বাজার। মুন্সির বাজার। শিবির বাজার। চকবাজার। মুড়ার বাজার। নয়নপুর বাজার। |
০৬ জুন | শুক্রবার | ময়নামতি বাজার।
মিয়াবাজার। কালিরবাজার। সুয়াগাজী বাজার। |
০৭ জুন | শনিবার | চান্দিনা বাজার।
চৌয়ারা বাজার। ছয়গ্রাম। চকবাজার রবিবার। নেউরা বাজার। চানঁপুর বাজার। বালুতুবা বাজার। |
০৪ থেকে ০৭ তারিখ এর মধ্যে টানা যতো বাজার | বুধবার থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত | নেউরা বাজার -(বুধবার থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত)।
চানঁপুর বাজার -(বুধবার থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত)। চৌয়ারা বাজার -(শনিবার, মঙ্গলবার থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত)। বালুতুবা বাজার -(বুধবার থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত)। চকবাজার রবিবার -(রবিবার, বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের দিন সকাল। |
এছাড়াও শহর কেন্দ্রীক বাজার বাদেও বিভিন্ন গ্রাম, ব্যক্তিগতভাবে গড়ে উঠা খামারে কিংবা অনেকে এক বা একাধিক কোরবানির পশু লালন-পালন করেছেন। সেখানেও পাওয়া যাবে কোরবানির পশু।
বিঃদ্রঃ রাইজিং কুমিল্লার নিজস্ব প্রতিবেদক ও বিভিন্ন সূত্র থেকে কোরবানির পশুর হাটের তালিকা সংগ্রহ করেছে। তবে ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
এর আগে (২৮ মে) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদ উল আযহার প্রস্তুতি সভায় সভার সভাপতি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়সার জানান, পশুবাহী ট্রাক যেন কোনোভাবেই কোনো বাজারের ইজারাদার কর্তৃক থামানো না হয়, সেদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখবে। এছাড়া, মহাসড়কের পাশে যেন কোনো হাটবাজার অবৈধভাবে বসতে না পারে, সেদিকেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নজর রাখবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লায় এ বছর ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮৬টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। বিপরীতে, জেলায় মোট গবাদি পশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৫২টিতে। এই বিপুল সংখ্যক পশু জেলার অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি উদ্বৃত্তও থাকবে বলে আশাবাদী অধিদপ্তর।