
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তাঁর মায়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে নগরীর কালিয়াজুরী এলাকার ‘নেলী কটেজ’ ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে সুমাইয়া আফরিন এবং তাঁর মা-এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সুমাইয়া ছিলেন কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক প্রয়াত নুরুল ইসলামের মেয়ে। মা-মেয়ে নগরীর সুজানগর এলাকায় বসবাস করতেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা তাৎক্ষণিকভাবে নগরীর পুবালী চত্বরে মানববন্ধন করে এবং পরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে ১২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, “যদি একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তার মা নিজ বাসায় নিরাপদ না থাকেন, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ এক ঘণ্টা ধরে চলে, যা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান গণমাধ্যমকে জানান, “ঘটনাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তদন্ত চলছে।”