অক্টোবর ১৮, ২০২৪

শুক্রবার ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

কুমিল্লায় মসজিদের নামকরণ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি মামলা

Clash between two villages over the naming of a mosque in Cumilla, counter cases
কুমিল্লায় মসজিদের নামকরণ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি মামলা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের গোকুলনগর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে পার্শ্ববর্তী নগরপাড় গ্রামের নামে নামকরণ নিয়ে দুটি গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এর আগে প্রায়ই শুক্রবারে জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভেতরে ও বাইরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ ঘটনায় মুসল্লিসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বুধবার (৪ অক্টেবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর একটি হোটেলে গকুলনগর দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদ কমিটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মসজিদের ভূমিদাতা ও গকুলনগর দক্ষিনপাড়া ফোরকানিয়া মাদরাসার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, গকুলনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের হীন উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী নগরপাড় গ্রামের কামাল, জাহাঙ্গীর, বশির, মনির, তাহেরসহ আরো কিছু লোক ষড়যন্ত্র করছে। তারা গকুলনগর গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে পার্শ্ববর্তী নগরপাড় গ্রামের নামে করার অযৌক্তিক দাবি তোলে গত ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পূর্বপরিকল্পিতভাবে দলবল নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে এবং খুতবা শুরুর আগে মসজিদের নামকরণের পরিবর্তনের বিষয় তুলে মসজিদের সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহআলম সহ অন্তত ১২ জন মুসল্লির ওপর হামলা করে।

এরপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়েরের পর তারাও পাল্টা মামলা করে। এমন অবস্থায় পরবর্তী তিনটি জুমার নামাজ পুলিশের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে মসজিদ নির্মাণের মহৎ উদ্দেশ্যে ২২ শতক জায়গা তিনি ও তার পিতা দান করেন। পরবর্তীতে গ্রামবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় গকুলনগর দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদ গড়ে তোলা হয়। উল্লেখিত নামেই মসজিদটি ওয়াকফ করা হয়। এ মসজিদের নাম পরিবর্তন করে অন্য একটি গ্রামের নামে করার কোন যৌক্তিকতা বা বৈধতার সুযোগ নেই।

মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে মসজিদে হামলার ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। যাতে মসজিদের মতো একটি পবিত্র জায়গায় ভবিষ্যতে কেউ কোনরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা করার সাহস করতে না পারে।

মুরাদনগর থানার ওসি মো. আজিজুল বারি জানান, আদালতে দুইপক্ষের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলার তদন্ত করছে থানা ও ডিবি পুলিশ। এছাড়া নামকরণ নিয়ে যেন ফের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশের নজরদারি রয়েছে।