টানা বৃষ্টির ফলে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায়, যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এদিকে বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে দুইদিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার (২১ আগস্ট) মারা যান তিনজন, সোমবার (১৯ আগস্ট) মারা গেছেন একজন।
এদের মধ্যে দুইজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ও একজনের মাথায় গাছ পড়ে এবং একজন পানিতে তলিয়ে মারা যান।
বুধবার ২১ আগস্ট) বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে বৈদ্যুতিক পিলারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক যোবায়ের হোসেন তার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নাঙ্গলকোটে বন্যার পানিতে তলিয়ে কেরামত আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি পৌরসভার দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা।
অন্যদিকে চৌদ্দগ্রামে বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় মাথায় গাছ পড়ে শাহাদাত হোসেন (৩৪) নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সোনাকাটিয়া (আদর্শ গ্রাম) পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে।
এছাড়া বুধবার মধ্যরাতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় একটি ব্রিজের নিচে তলিয়ে যান কেরামত আলী। প্রবল স্রোতে অদৃশ্য হয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিছু সময় পর ঘটনাস্থলের অদূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেব দাস দেব বলেন, কেরামত আলীকে রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ নিয়ে যায়। তিনি মাছ ধরতে গিয়ে পিছলে পড়ে স্রোতের কারণে আর উঠতে পারেননি বলে জানতে পেরেছি।
এর আগে সোহরাব হোসেন সোহাগ নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর সালাউদ্দিন মোড়ে ওই আইনজীবী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখে বের হলে বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যান তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।