মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

কুমিল্লায় দুর্গাপূজা: মহানগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছে এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লায় দুর্গাপূজা: মহানগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন এনসিপি/ছবি: মিডিয়া রিলিজ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছে দলটি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিদর্শনের সময় এনসিপি নেতারা সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।

প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে এনসিপি প্রতিনিধি দল পূজা কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলেন। কমিটির সদস্যরা এ সময় সরকার এবং প্রশাসনের কার্যক্রম নিয়ে তাঁদের পূর্ণ সন্তুষ্টির কথা জানান।

এই পরিদর্শনে জাতীয় নাগরিক পার্টি কুমিল্লা মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী ফারহা এমদাদ ইম্পা এবং সদস্য জাফরিন হক।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব শক্তির সদস্য জাহিদুল হক এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন রুবেল।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির অন্যান্য সদস্যগণও কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করেছে।

আখতার আহমেদ বলেন, দুটি দলের বিষয়ে শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি ১২টি দলের আবেদনের ওপর আরও বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করা হবে। তবে ৭টি দলের আবেদন ইতোমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিবন্ধনের জন্য মোট ১৪৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ২২টি দলের তথ্য মাঠপর্যায়ে যাচাই করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে এখন পর্যন্ত দুটি দলকে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে- জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।

ইসি সচিব বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) তাদের নির্বাচনী প্রতীক সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হবে। তবে চূড়ান্ত নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।

ইসি জানায়, তিনটি রাজনৈতিক দল ইসির পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এগুলো হলো- বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ)। এ ছাড়া, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির বিষয়ে আদালতের রায় রয়েছে। তারা নিবন্ধন পাবে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ৯টি দলের কার্যকারিতার বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে। সেগুলো হলো- আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ।

এদিকে মাঠপর্যায়ের তদন্ত শেষে ২২টি দলের মধ্যে ৭টি দলকে অযোগ্য হিসেবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বাতিল হওয়া দলগুলো হলো- ফরোয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী–সিপিবি এম), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।

আরও পড়ুন