কুমিল্লায় সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে ৭ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের ঘটনা ৬ টি এবং নারী- শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৫ টি। বিভিন্ন অপরাধে জেলায় মোট ৩৯৯ টি মামলা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সভা সূত্রে জানা গেছে, সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা জেলা পুলিশের আওতায় ৩৯৯টি মামলা করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডাকাতি, দস্যুতা, নারী ও শিশু নির্যাতন, পশু চুরি, আহত, অস্ত্র আইন, চোরাচালান, দ্রুত বিচার, মাদকদ্রব্য মামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লায় ৭টি খুন, ২৫টি নারী ও শিশু নির্যাতন, ৬টি ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় ৩৯৯টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৬টি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে।
সভা সূত্রে আরও জানা গেছে, ডিসেম্বরে পরিবেশ দূষণ রোধে ৭১টি অভিযানে ১০৬টি মামলায় ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে ৮টি প্রতিষ্ঠান নানান অভিযোগে বন্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৪ হাজার টাকা জরিমানা করে। বন বিভাগ ১৩৪টি অভিযান পরিচালনা করে।
এছাড়া ভোক্তা অধিকার আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ২৭টি অভিযান পরিচালনা করে ৪০টি মামলায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।
সভার পরিসংখ্যানে আরও উঠে এসেছে, ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লায় ১০টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ১৭ জন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে ১৩ জন। মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান বিরোধী এবং টাস্কফোর্সের ১৯টি অভিযানে ৫ জন, পুলিশ ৮২২টি অভিযানে ১৪০ জন, বিজিবি ১৮৬১টি অভিযানে ৫ জন, র্যাবের ১৩টি অভিযানে ২৩ জন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ১৬০টি অভিযানে ৪১ জনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া ডিসেম্বর মাসে মাদক ও চোরাচালান সংক্রান্ত মোট ১১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৮৫টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৯৯টি মোবাইল কোর্টে ৩৩২টি মামলায় ৪৯ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫০ টাকা এবং নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নিচু জমিতে বালু দিয়ে ভরাট, পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ৪৬টি অভিযানে ৩৮ মামলায় ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন, কুমিল্লা-১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ, বিজিবিএমএস, পিবিজিএমএস,পিএসসি, জেলা পিপি, এডভোকেট, কাইমুল হক রিংকুসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।
