জানুয়ারি ১৬, ২০২৫

বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

কুমিল্লায় জেঁকে বসেছে শীত, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

Rising Cumilla - Winter.webp
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

কুমিল্লায় কনকনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। পাশাপাশি বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ। বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও।

গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কুমিল্লায় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘনকুয়াশায় তাপমাত্রা কম ও হিমেল বাতাসের প্রভাবে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। খেটে খাওয়া মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ। তারা ঠিকমতো কাজে যেতে পারছেন না। ফলে উপার্জনে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। কনকনে শীতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে কেউ বের হচ্ছেন না। অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ দিনের বেলায়ও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ট্রাক চালক জসিম বলেন, রাতে এতো কুয়াশা ১০ হাত দূরের গাড়ি ঠিকমতো দেখা যায় না। ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে গন্তব্য পৌঁছাতে বেশি সময় লাগছে।

কুমিল্লা নগরীর বাসা-বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন মাহমুদা বেগম। তিনি বলেন, ‘এই ঠান্ডার মধ্যে সকাল-সন্ধ্যা কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। পানিতে হাত দেওয়া যায় না।’

বুড়িচংয়ের অটোরিকশা চালক ফরিদ মিয়ার ভাষ্য, যে পরিমাণ কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস মানুষ বাড়ি থেকে কেমন করে বের হবে। বিকালের পর থেকেই যাএী কমে যায়।

চৌদ্দগ্রাম মুন্সীরহাটের অটোচালক শামসুল হক জানান, ‘সারাদিন গাড়ি চালিয়ে ২- ৩শ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এদিকে অটো চালাতে গিয়ে হাত-পা ঠা-ায় শক্ত হয়ে যাচ্ছে। ভাড়া না পেয়ে প্রতিদিনের রিক্সা বাববদ গ্যারেজে জমা (টাকা) দিতে পারছেন। ফলে পরিবার নিয়ে সংকটে রয়েছেন। ঠান্ডায় তার দুই সন্তান অসুস্থ বলেও জানান।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুর রহমান বলেন, ‘আগামী দুইদিনও সূর্যের দেখা মিলবে না। যার কারণে দিনের স্বাভাবিক তাপমাত্রা চেয়ে একটু বেশি শীত অনুভব হবে।’