নভেম্বর ২৪, ২০২৪

রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লায় গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা

Rising Cumilla - BNP-Jamaat
গ্রাফিক্স: রাইজিং কুমিল্লা

কুমিল্লায় গ্রেফতার-আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ গত শুক্রবার পাওয়া তথ্য মতে, আরও ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে গত কয়েকদিনে ১৭২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে কুমিল্লায় সংঘটিত সহিংসতা-নাশকতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৮টি মামলা দায়ের করেছে। এতে প্রায় ৮হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে এসব মামলায় বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন।

মামলার তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান। তিনি জানান, সহিংসতার ঘটনায় গত কয়েকদিনে ১৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের বেশির ভাগ বিএনপি- জামায়াতের নেতাকর্মী।

এদিকে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় কত সংখ্যক বিরোধী নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে পারছে না সাংগঠনিক দায়িত্বরতরা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশের মতো কুমিল্লায় ব্যাপক নৈরাজ্য হয়। ১৮ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ী এলাকায় পুলিশের দুটি ও বিজিবির একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি শিক্ষার্থীরা নয়, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরাই এ নাশকতা চালিয়েছে। এ ঘটনায় জেলার সদর দক্ষিণ ও কোতোয়ালি থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় ৮ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে। প্রতি রাতেই নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার সাংগঠনিক জেলায় কোনো ধরনের সহিংসতা হয়নি। তারপরও পুলিশ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। প্রতি রাতেই নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে অভিযান চালাচ্ছে। এতে আমাদের হাজারও নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু গণমাধ্যমকে বলেন, কুমিল্লা মহানগরসহ পুরো জেলায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছি। প্রতি রাতেই নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে। অন্যায়ভাবে চলমান এ গ্রেফতার অভিযানের নিন্দা জানাই।

এর আগে কুমিল্লা পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, ‘নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। যারা সরাসরি নাশকতার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’