কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলার যুক্তিখোলা বাজারে গরু ও ছাগলের হাট বসানো নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলার যুক্তিখোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশ্রাফুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন- নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের বাসু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রাকিব (১৮), একই গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে মাসুম (২১), আব্দুল আজিজের ছেলে ফজলুল হক (২৪), সাইফুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২৮), আরব আলীর ছেলে মোবারক (৩০), জিতু মিয়ার ছেলে লিটন (২৫) ও লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের আজবপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে সেলিম (৪০), বাহার উদ্দিনের ছেলে রুবেল (২৩), যুক্তিখোলা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মহিন (২৪) একই গ্রামের মোহাম্মদ জীবন (১৮)। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে এবং গুরুতর আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার যতো গরুর বাজারগুলোর মধ্যে যুক্তিখোলা গরুর হাট অন্যতম। চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাঠে গরু-ছাগলের হাট বসানো যাবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর থেকে গরুর বাজার নিয়ন্ত্রণকারী গ্রুপ ও লালমাই উপজেলার বেলঘর গ্রামের আজবপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন একই বাজারে দুটি গরুর হাট বসানো শুরু করে। এ নিয়ে নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলার স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এর জেরে সোমবার গরুর হাট বসা নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় যুক্তিখোলা বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল হকের নেতৃত্বে দুই থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে গরুর হাটটির উভয়পক্ষের কারও অনুমোদন নেই বলে স্থানীয় প্রশাসন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল হক, লালমাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা এবং উভয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গরু বাজার দুটি বন্ধ করে দেয় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল হক এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে একই বাজারে পৃথক স্থানে দুটি গরু ও ছাগলের বাজার বন্ধ করে দেই। আগামীতে গরু ও ছাগলের বাজার বসাতে হলে যথাযর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।