নভেম্বর ২৬, ২০২৪

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লায় কৃষি ও শিল্প খাতের শ্রমজীবীরা বেশ ‘ভালো আছেন’

Agriculture sector of Bangladesh
এক নজরে বাংলাদেশের কৃষি খাত | ফাইল ছবি

কুমিল্লায় কৃষি ও শিল্প খাতের শ্রমজীবীদের স্বচ্ছলতা বেড়েছে। করোনা মহামারীর মধ্যেও এ দুটি খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষি শ্রমিক, মাছের খামারি, নির্মাণ শ্রমিক, অটো চালক, রিকশাচালক, মেসে মেসে রান্নাবান্নার কাজ করা বুয়া, ফুটফরমাস খাটা টোকাইরাও ভালো আছেন।

কুমিল্লায় বছরে মাছের চাহিদা সাড়ে ৯৯ হাজার মেট্রিক টন। আর উৎপাদন হচ্ছে ২ লাখ ১০ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন মাছ। চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত সোয়া লাখ মেট্রিক টন মাছ বেশি উৎপাদিত হয়ে এখানকার প্রায় ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীর আমিষ পূরণ করে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাকি সিংহভাগ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

চান্দিনার আনোয়ার হোসেন বলেন, করোনা মহামারী কালেও কৃষিকাজ মানুষকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কৃষক, মাছের খামারি, মুরগি ও ডিমের খামারিদের চেয়ে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা ভালো আছেন। সাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

দেবিদ্বারের মাল্টা বাগানের মালিক আমিনুর রশিদ বলেন, আমার বাগানে বেশ কিছু শ্রমিক কাজ করছে। এতে তাদের স্বচ্ছলতা আসছে। এলাকায় দেখাদেখি অনেকেই নতুন নতুন বাগান গড়ে তুলছে। সেখানেও প্রচুর শ্রমিকের কাজ হচ্ছে।

বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামের কৃষি শ্রমিক তৌফিক ইলাহী বলেন, কৃষি শ্রমিকের কাজ করে অভাব মোচন হয়েছে। এ দুঃসময়ে ভালো আছি।

দাউদকান্দি মৎস্য চাষি আব্দুল আল মামুন বলেন, প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষের ফলে দাউদকান্দি ও আশপাশের জলাঞ্চলের মানুষের অভাব ঘুচেছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন বলেন,  শুধু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে তিন হাজার হেক্টর প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ হয়। এ উপজেলার শিক্ষিত তরুণরা মাছ চাষে সম্পৃক্ত হওয়ায় বেকারত্ব দূর হয়েছে। সেই সঙ্গে মাছের উৎপাদনও বাড়ছে।

তাছাড়া জেলায় মাছের চাষ ও রোগ প্রতিরোধে মৎস্য বিভাগ চাষিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে কৃষি শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। প্রতিদিন কৃষি শ্রমিকদের মজুরি কমপক্ষে ৬শ’ টাকা।

নগরীর মেসে মেসে রান্নাবান্নার কাজ করা বুয়া আর ফুটফরমাস খাটা টোকাইরাও বেশ ভালো আছেন। নগরীর আনাচে কানাচে আর বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় আশেপাশে গড়ে ওঠা ছোট বড় ফাস্টফুডের দোকান বেশ জমজমাট।

নদী তীরের ভ্রাম্যমাণ ফাস্টফুড, কালাই রুটি, ভাপাপিঠা, বারোভাজা, আমড়া, পেয়ারা বিক্রেতারাও শীত মৌসুমে ভালো ব্যবসা করছেন।