নভেম্বর ২৪, ২০২৪

রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লায় কমছে বন্যার পানি, ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পানি কমছে ধীরগতিতে। তবে বন্যার পানি যতো কমছে ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লার ১৪টি উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়। এখন পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও বিপদ পুরোপুরি কাটেনি।

বন্যার প্রভাবে রাস্তা ও ঘরবাড়ির অবস্থা ভীষণ নাজুক। কুমিল্লার বিভিন্ন গ্রামে বন্যায় সড়কগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কংক্রিটের সড়কগুলো ভেঙে পড়েছে, আর কাঁচা সড়কগুলো পুরোপুরি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এর ফলে অনেক গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে, এবং সেসব এলাকায় ত্রাণ সহায়তাও পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

বন্যার কারণে মাছ চাষি ও খামারিরাও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। মনোহরগঞ্জ উপজেলার মাছের খামারগুলোতে বন্যার স্রোতে মাছ ভেসে গেছে। একইভাবে, মুরগি ও গবাদি পশুর খামারগুলোতেও ক্ষতি হয়েছে। পশুদের খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য নেই, এবং কিছু পশু খুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো হচ্ছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয় এবং প্রত্যন্ত এলাকায় সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে, তবে ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি যে পুনর্বাসনের কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করার কাজ শুরু হবে পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পর। এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে।

এদিকে কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ কিছুটা কমলেও তা একেবারে বন্ধ হয়নি। গোমতীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।