কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের কাছে মোবাইল ফোনে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অডিও প্রকাশের পর থানার এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। চাঁদা দাবির এ ঘটনাটি ঘটেছে মুরাদনগর থানায়।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর।
অভিযোগে জানা যায়, “মুরাদনগর থানার এসআই হারুনুর রশিদ তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে নবীপুর পশ্চিম ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলামের নিকট হোয়াটসআ্যাপ কলের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম দুই লক্ষ টাকা এ মুহূর্তে হাতে নেই বলে কী সমস্যা জানতে চান। তখন এসআই হারুন বলেন- এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না, সব স্যারে যানে। তারপর ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম কয়েক দিনের সময় চাইলে এসআই হারুন ‘সরি’ বলে ফোন কেটে দেন। এরপর সেদিন রাতেই ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলামকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।”
এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে ২৫ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেন। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এসআই হারুনকে শনিবার (৩০ মার্চ) বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি বলেন, ‘এসআই হারুনুর রশিদের চাঁদা দাবির বিষয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আমার নাম ব্যবহার করে এমনটা করেছেন।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’