নভেম্বর ২৪, ২০২৪

রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

কুবি শহীদ মিনারের করুণ দশা, দেখার কেউ নেই

কুবি শহীদ মিনারের করুণ দশা, দেখার কেউ নেই
কুবি শহীদ মিনারের করুণ দশা, দেখার কেউ নেই। ছবি: কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যে সকল স্থাপত্যশৈলী রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো শহীদ মিনার। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এই শহীদ মিনারটি। কিন্তু বাদামের খোসা, গাছ থেকে ঝরে পড়া পাতা এবং দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করার কারণে শহীদ মিনারটি নোংরা স্থানে পরিণত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সরেজমিনে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। এই শহীদ মিনারে বসেই চলে গানের আড্ডা,খোঁশগল্পসহ বিভিন্ন আয়োজন। বিভিন্ন আঞ্চলিক ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রীতিমতো বিভিন্ন সভার আয়োজন করেন এখানে।

কিন্তু যত্রতত্র বাদামের খোসা, ফুল ঝরে পড়াসহ বিভিন্ন খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ ফেলে দূষিত করা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনাটির পরিবেশ। যদিও শহীদ মিনারের দিকে উঠতেই বাঁ পাশেই রাখা রয়েছে একটি ডাস্টবিন। কিন্তু সেটার যথাযথ ব্যবহার করছেন না শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা।

এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া বলেন, মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে।

আমরা প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেই এবং শহীদের সম্মান প্রদর্শন করি। তাছাড়া সারা বছর দেখা যায় শিক্ষার্থীসহ পর্যটকরা ঘুরতে এসে শহীদ মিনারে সময় কাটায়।

এর ফলে তারা খাবার খেয়ে সেই প্যাকেট নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে না ফেলে শহীদ মিনারের আশেপাশে ফেলে রাখে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে এটা খুবই দৃষ্টিকটু লাগে আমার কাছে।

শহীদ মিনারে আমরা শ্রদ্ধা জানাবো কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে যা আমাকে ব্যথিত করে। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আশা করছি প্রশাসন শীঘ্রই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন।

কুবি শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা
কুবি শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা

এস্টেট শাখার ডেপুটি-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, নির্দিষ্ট একটা সময় পরপর আমরা পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে শহীদ মিনার পরিষ্কার করাই। প্রতিদিন পরিষ্কার করা সম্ভব নয় কেননা আমাদের লোকবল কম।

তাছাড়াও ইউজিসি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটা বাজেট দেওয়া হয় যার ফলে প্রত্যেকটা সাইটের জন্য আলাদা আলাদা পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়।

ক্যাম্পাসে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য পর্যটকরা ঘুরতে আসে, শহীদ মিনারের পাশেই ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিনে ময়লা না ফেলে যত্রতত্র ময়লা ফেলা হয়।
যার ফলে পরিবেশ নোংরা হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সচেতন হলেই শহীদ মিনারসহ ক্যাম্পাস পরিষ্কার থাকবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।