নভেম্বর ২৪, ২০২৪

রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

কুবি ছাত্রলীগের কর্মীসভা: সভাপতি ও সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা অর্ধ-শতাধিক

কুবি ছাত্রলীগের কর্মীসভা: সভাপতি ও সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা অর্ধ-শতাধিক
কুবি ছাত্রলীগের কর্মীসভা: সভাপতি ও সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা অর্ধ-শতাধিক। ছবি: কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ-প্রত্যাশী নেতাদের মাঠ পর্যায়ে অবস্থান যাচাই এবং কমিটি প্রদানের লক্ষ্যে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছে।

এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অর্ধশতাধিক জীবনবৃত্তান্ত জমা পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে তিনটায় শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। পরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন পদ-প্রত্যাশী নেতারা।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি এবং মো: সুমন খলিফা (ওয়ালিউল সুমন),গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান লিখন, ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক দিদার মাহমুদ আব্বাস, মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, উপশিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম শাকিল, উপ-অটিজম বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর দিপু বক্তব্য প্রদান করেন।

এতে কুবি ছাত্রলীগের কর্মীসভার প্রধান সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৫০ লক্ষ নেতাকর্মীর সংগঠন। আজকের এই কর্মীসভার মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নেতৃত্বের স্পন্দন দেখতে চাই।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যেভাবে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। আমরা চাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনারা শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবেন । বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের উন্নয়নে ক্রান্ত্রিলগ্নে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মী সামনের নির্বাচনে ওতপ্রোতভাবে কাজ করে যাবেন৷

সহ-সভাপতি মোঃ সুমন খলিফা (ওয়ালিউল সুমন) বলেন, আজকের এই কর্মীসভার মাধ্যমে বাংলাদেশে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ আপনাদেরকে সুন্দর একটি কমিটি দ্রুত উপহার দিবে।

আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে প্রত্যেক পর্যায়ের নেতাকর্মীরা একত্রিত হচ্ছি। আমরা মনে করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছেন যাতে আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের রক্তের ঋণ কিছুটা লাঘব হয়েছে।

তিনি আরোও বলেন, আপনাদের মাঝে বীর সৈনিকদের আড়ালে যেন কোন খন্দকার মোশতাক লুকিয়ে না থাকে। সেজন্য আপনারা সবাই সুসংগঠিত থাকবেন। আজকে এই লালমাটির ক্যাম্পাসে দাড়িয়ে বলতে চাই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হবে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিশালী একটি দূর্গ।

উল্লেখ্য, কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো পুরো মুক্তমঞ্চ। এ সময় ব্যানার-ফেস্টুন ও নেতা-কর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।