কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) রেজিস্ট্রার ও হল প্রাধ্যক্ষের পর উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতাসহ আটটি কারণ উল্লেখ করে এবার পদত্যাগ করছেন গণমাধ্যম উপদেষ্টা ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষক নিয়োগে সীমাহীন অনিয়ম, উপাচার্যের একক কর্তৃত্বে প্রক্টরের অবৈধ অনলাইন পিএইচডি ডিগ্রির অনুমোদন, পদোন্নতির শর্ত পূরণ না করা সত্ত্বেও কতিপয় শিক্ষককে পদোন্নতি প্রদান, পদোন্নতির সকল শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও শিক্ষকদের একটি অংশকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা, পদোন্নতি নীতিমালায় না থাকলেও শিক্ষকদের পদোন্নতির সময় অবৈধ শর্ত প্রদান করা এবং পছন্দ-অপছন্দ বিবেচনা করা, বিভিন্ন বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রদানের দায়িত্ব হস্তান্তর না করা এবং উপাচার্যের পছন্দের লোকদের আইন লঙ্ঘন করে এ সব দায়িত্ব দেওয়া, উপাচার্য কর্তৃক শিক্ষকদের ক্যাডার বাহিনী তৈরি করা এবং এই ক্যাডারদের দ্বারা শিক্ষকদের পেটানো এবং গালিগালাজ করার ঘটনা ঘটা, ভর্তি পরীক্ষার অর্থ ব্যয়ে অস্বচ্ছতা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করা ইত্যাদি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার সহকর্মীরা বিগত দুই বছরে যে সকল অন্যায়ের শিকার হয়েছেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন আর কখনও হয়নি। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসনিক পদে থাকা নৈতিক মনে করি না বলে আমি পদত্যাগ করেছি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে উপাচার্যের সাথে সমন্বয়হীনতা ও অস্বস্তিবোধের কথা উল্লেখ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ব্যক্তিগত কারণ ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার কারণ উল্লেখ করে পদত্যাগ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার।