কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নিজস্ব ৫ শতাংশ ভূমি আশপাশের দোকানিদের ফেলা ময়লার কারণে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পার হলেও সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অনীহার কারণে এটির কোন সুরাহা মেলেনি।
ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয় একদিকে হারাচ্ছে রাজস্ব। অন্যদিকে ময়লা আবর্জনার স্তূপে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে পাঁচ শতাংশ জায়গা রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পার হয়ে গেলেও প্রধান ফটক সংলগ্ন এই মূল্যবান জায়গাটি অব্যবহৃত হিসেবেই পড়ে রয়েছে। যার সুযোগ নিচ্ছে আশেপাশের দোকানিরা।
দোকানগুলোর নিত্যদিনের যত বর্জ্য রয়েছে তার অধিকাংশই ফেলা হচ্ছে এই জায়গায়টিতে। ফলে জায়গাটি দিয়ে আসা যাওয়া করা সাধারণ পথচারী থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকেই পড়তে হয় অস্বস্তিতে।
এছাড়াও এই জায়গাটির আশেপাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমিগুলোতে বিভিন্ন দোকানপাট থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গাটা ময়লার ভাগাড় হিসেবেই পড়ে রয়েছে।
এমতাবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীরাও জায়গাটি সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। মত দেয়া এমন কয়েকজন শিক্ষার্থী রাইজিং কুমিল্লাকে জানান, এ ভূমিটির মালিক যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটাই তারা এতদিন জানতেন না।
তাদের চাওয়া, জায়গাটির দ্রুত যেন বর্জ্য অপসারণ করা হয় পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেহেতু টিএসসি নেই তাই অস্থায়ী ভাবে হলেও যেন এখানে তার ব্যবস্থা করা হয় অথবা দোকানপাট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব বৃদ্ধি করা হয়।
এই জায়গাটিতে কী করা যেতে পারে জানতে চাইলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সৌন্দর্যবর্ধন কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জায়গাটি নিয়ে কখনো পরিকল্পনা করা হয়নি।
কিন্তু এখন সময় হয়েছে এটা নিয়ে কাজ করার। যেহেতু জায়গাটিতে বড় কোনো স্থাপনা করা সম্ভব নয়। তাই একটি মার্কেটের ব্যবস্থা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়েরও আয়ের ব্যবস্থা হবে।
পাশাপাশি ময়লা আবর্জনা ফেলে যেই দূষিত অবস্থা করা হয়েছে তার অবসান হবে বলে তিনি মত দেন।”
এ বিষয়ে এস্টেট শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো: মিজানুর রহমান জানান, এই জায়গাটিতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবিরের সময় একটি সরকারি ব্যাংকের অর্থায়নে স্থাপনা করার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি পরে কেন যেন আর আগায়নি সেটির কারণ আর তিনি জানেন না।
ভূমিটি নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে অলরেডি আমরা একটি পরিকল্পনা করে রেখেছি। আশাকরি শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
তবে কী ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে তা জানতে চাইলে, তিনি এই মুহূর্তে বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।”