ছোলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে আমিষ, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ লবণ ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। কাঁচা ছোলায় এই সব উপাদানের পরিমাণ আরও বেশি থাকে। তাই কাঁচা ছোলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা ছোলায় রয়েছে প্রোটিন ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৯২ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.৩৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.১৩ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন বি৬ ০.১৭ মিলিগ্রাম।
ছোলার উপকারিতা হলো:
১) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩) ছোলায় প্রচুর খাদ্যআঁশ রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৪) কাঁচা ছোলা আর কাঁচা আদা একসঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়।
৫) ছোলায় থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তাই অ্যাজমা রোগীদের জন্যও এটি বেশ উপকারী।
৬) বেশি পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করলে নারীরা কোলন ক্যানসার এবং রেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
৭) ছোলা রক্তের চর্বিও কমায়। ছোলায় থাকা পলি আনস্যাচুয়েটেড ফ্যাট শরীরের জন্য ভালো। এটি রক্তের চর্বি কমায়।
৮) ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভালো।
৯) ছোলা খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়।
১০) প্রতিদিন ৪০৬৯ মিলিগ্রাম ছোলা খেলে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯% কমে যায়।
খাওয়ার নিয়ম
১) ভেজানো ছোলার সাথে কাঁচা আদা বা ভিনেগার মিশিয়ে খেতে পারেন।
২) প্রতিদিন ১/২ কাপ ছোলা, শিম ও মটর খেতে পারেন।
৩) খালি পেটে সকালে খাওয়া। রাতে এক মুঠো কাঁচা ছোলা বা ২৫-৩০ গ্রাম পরিমাণ ছোলা ভালো করে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে সেই ভিজিয়ে রাখা কাঁচা ছোলা খাবেন।কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ছোলা ভিজিয়ে রাখার
ভেজানো ছোলা খাওয়ার সময়ে কিছু সতর্কতাঃ
ভেজানো ছোলা খাওয়ার সময়ে কিছু সতর্কতা পালন করতে হবে।
যদি আপনি খালি পেটে কাঁচা ছোলা খান, তাহলে এর পরে আচার খাবেন না। মিষ্টি আচার হলেও না। আচারে ভিনেগার দেয়া থাকে। কাঁচা ছোলার পরে আচার খেলে আচারের ভিনেগার দেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। সেই সাথে হতে পারে গলা ও বুকে জ্বালা, অম্বলের সমস্যা, এমনকি হার্ট অ্যাটাকও।