বিমানের হজ ফ্লাইটের ভাড়া আর কমানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সিইও শফিউল আজিম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন হজ ফ্লাইটের যে ভাড়া ধরা হয়েছে এটা একদম সর্বনিম্ন ও সর্বশেষ।
রবিবার (১৯ মার্চ) বিমানের কুর্মিটোলার বলাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি বলেন, হজের বিমান ভাড়া প্যাকেজ আকারে করা হয়েছে।
যেখানে একটি অংশে বিমান ভাড়া যুক্ত আছে। বিমানের হজ প্যাকেজটি অনুমোদন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়; এটি জাতীয় নির্বাহী কমিটির এখতিয়ার, যার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তার মানে বিমানের তরফ থেকে হজ প্যাকেজ কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বৎসর ভাড়া বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ট্যাক্স বৃদ্ধি, জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধি। ভাড়া বৃদ্ধিতে আমাদের কোনো হাত নেই। এ বছর হজ ফ্লাইটের ভাড়া প্রথম প্রস্তাবে ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৩৩৮ টাকা। পরে তা কমিয়ে প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন –আবারও বাড়ানো হলো হজ নিবন্ধনের সময়
উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
এবার বিমানের হজ ফ্লাইট ভাড়া প্রায় ৫৮ হাজার টাকার মতো বৃদ্ধি করে ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি বছর ২১ মে থেকে স্থানীয় সময় রাত তিনটা ৪৫ মিনিট থেকে হজ প্রত্যাশীদের বহনকারী বিমানের প্রথম ফ্লাইট বিজি ৩০০১ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। প্লেনটি সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় জেদ্দার বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
তিনি আরও জানান, প্রি-হজ ফ্লাইটে পরিচালনা করা হবে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট। এরমধ্যে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ১১৬টি, ঢাকা-মদিনা রুটে ২০টি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ১৪টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ৬টি, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।