জানুয়ারি ১৫, ২০২৫

বুধবার ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

এ বছরই চালু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট

Pakistan International Airlines
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানিয়েছেন, চলতি বছরেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে।

গতকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা সফররত পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, আগে বাংলাদেশি এয়ারলাইনস ফ্লাইট চালু করলো নাকি পাকিস্তান এয়ারলাইনস চালু করলো, সেটি কোনো বিষয় না। আমরা দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই।

এ সময় দ্য ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখ বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কৃষি, ঔষধ, চামড়া, মেশিনারি, কেমিকেল, আইসিটি খাতে দু’দেশের এক সঙ্গে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক যোগাযোগের সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

সভায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানও বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও কৃষি, বস্ত্র, ঔষধ, আইসিটিসহ সম্ভাবনাময় অনেক খাত এখনও অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে। যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে (ওআইসি) কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে এ সময় তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্বালানি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রভৃতি খাতে দুই দেশের নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

এফবিসিসিআই প্রশাসক বলেন, এফবিসিসিআই এবং এফপিসিসিআই সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, বিটুবি মিটিংসহ সিঙ্গেল কান্ট্রি ট্রেড ফেয়ার আয়োজনের উদ্যোগ নিতে পারে।

সভা শেষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

উল্লেখ্য, সরাসরি ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়বে এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।