
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও এক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম প্রথমবারের মতো ২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেল।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, ভরিতে ৩ হাজার ১৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ মূল্য মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ৭২৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯১ হাজার ৬০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ২২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস আরও জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির ক্ষেত্রে তারতম্য হতে পারে।
এর আগে সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ১৯২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা ছিল এত দিনের সর্বোচ্চ দাম। ওই সময় অন্যান্য ক্যারেটের দাম ছিল: ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৫১ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৩ টাকা। এই দাম কার্যকর হয়েছিল গত ৫ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর (জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ৬ পর্যন্ত) এ নিয়ে মোট ৬১ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এর মধ্যে ৪৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমেছে মাত্র ১৮ বার। অন্যদিকে, গত বছর (২০২৪ সালে) মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬২৮ টাকায়, যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম।