নভেম্বর ১৮, ২০২৪

সোমবার ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

এবার ভিসা নীতির আওতায় বিচার বিভাগও পড়বে কিনা জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

The US ambassador said whether the judicial department will also fall under the visa policy
এবার ভিসা নীতির আওতায় বিচার বিভাগও পড়বে কিনা জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত সরকারি দল, বিরোধীদল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর এবার বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

গতকাল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবার্তা দেন তিনি।

পিটার হাস বলেন, ‘এখন দেখার বিষয়— কতটা নিরপেক্ষভাবে বিচারকার্য পরিচালিত হচ্ছে। প্রভাবমুক্তভাবে বিচারকার্য চলছে কিনা।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়।’

তালিকায় কারা আছেন কিংবা সংখ্যা কত, প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রদূত জানান, কতজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ।

ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এই ভিসানীতি প্রয়োগ করেছি নিরপেক্ষভাবে। কারও পক্ষে কিংবা কারও বিপক্ষে নয়। তারা ক্ষমতাসীন দলের, নাকি বিরোধী দলে, তারা সরকারের পক্ষে নাকি বিপক্ষে— এটা বিবেচনা করে নয়।

তিনি আরও বলেন, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য, এমনকি বিচার বিভাগের কেউ হতে পারেন। সংবাদমাধ্যমও এর আওতায় পড়তে পারে। এসব কিছুই নির্ভর করবে তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর।

এর আগে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে ম্যাথু মিলার বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।