
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকার টানা ১০ দিনের লম্বা ছুটি ঘোষণা করেছে। ছুটি শুরু আগামী ৫ জুন থেকে। অর্থাৎ ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন।
আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, “মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি থাকবে।”
এই দীর্ঘ ছুটির সমন্বয় করতে সরকার আগামী ১৭ ও ২৪ মে (শনিবার) সরকারি অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ, ছুটির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই দুই শনিবার কর্মদিবস হিসেবে পালিত হবে।
এদিকে, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়াও অনুমোদন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটি জানিয়েছে, আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থাটি আরও জানায়, চলতি মাসের ২৭ মে সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে এবং ২৮ মে হবে এই মাসের প্রথম দিন।
সাধারণত, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চাঁদ দেখার পরের দিন বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে চাঁদ দেখা যায়। এই হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে ৬ জুন ঈদ হলে, বাংলাদেশে আগামী ৭ জুন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি পেয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঈদ উপলক্ষে সরকার আগে থেকেই পাঁচ দিনের ছুটির ঘোষণা করেছিল এবং পরবর্তীতে নির্বাহী আদেশে আরও একদিন ছুটি যোগ করা হয়েছিল। তবে, সেই ছুটির আগে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি এবং ২৭ মার্চ একদিন অফিস খোলা ছিল।