এবারও জেলার সামগ্রিক চাহিদার দ্বিগুণ মাছ উৎপাদন হয়েছে কুমিল্লায়। মাছ উৎপাদনে এবারও দেশের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এ জেলা। এখানকার চাহিদা মিটিয়ে দ্বিগুণ মাছ উৎপাদন হচ্ছে।
সোমবার (১৮আগস্ট) সকালে ১২টায় জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সাপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান প্রধান অতিথি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার।
জেলা প্রশাসক বক্তব্যে আরও বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের আমিষের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ আসে মাছ থেকে। তিনি বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষের পাশাপাশি সাগরেও মাছ চাষের সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে প্রায় দুই হাজার মৎস্যচাষীকে প্রশিক্ষণ এবং তিন হাজার জনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
'অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কুমিল্লায় শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ যা আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো দেশীয় মাছের উৎপাদন বাড়ানো এবং মৎস্য খাতে জড়িতদের সমস্যা সমাধান করা।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল মালিক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক অশোক কুমার দাস।
আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া মৎস্য চাষী মোহাম্মদ আলী লিটন গত ২০ বছর ধরে মাছ চাষে ভালো আছেন বলে জানান।
তবে আরেক মৎস্য চাষী এমদাদ হোসেন বলেন যে, সমাজে মৎস্যচাষীদের নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। তিনি বলেন, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৎস্যজীবীরা কোনো ক্ষতিপূরণ পান না এবং তারা মাছ চাষের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা চান।
এই সভায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোতাহার হোসেন মাহবুব, গাজীউল হক সোহাগ, এবং খালেদ সাইফুল্লাহ-ও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। পরে পুরস্কার বিতরণী করা হয়।
[caption id="attachment_42645" align="alignnone" width="1200"] মৎস্য চাষে বিশেষ অবদানের জন্য তিনজন চাষীকে পুরস্কার প্রদান করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক/ছবি: প্রতিনিধি[/caption]
মৎস্য চাষে বিশেষ অবদানের জন্য তিনজন চাষীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন: মো. সহিদুল ইসলাম (কুমিল্লার চান্দিনার যুগপুকুরিয়া), বায়েজীদ হোসেন পাটোয়ারী (চৌদ্দগ্রামের পাটোয়ারী বহুমুখী এগ্রো ফিশারীজের স্বত্বাধিকারী), মোহাম্মদ রহমত আলী (দাউদকান্দির রহমত ফিশারীজের স্বত্বাধিকারী)
এছাড়া, মৎস্য খাতের উন্নয়নে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন দুইজন উদ্যোক্তা। তারা হলেন: প্রেমাংশু বিকাশ ভৌমিক (বুড়িচংয়ের আগাতা ফিড মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক), মো. রেহান উদ্দিন (ব্রাহ্মণপাড়ার আর কে ফিড এন্ড পোল্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক)
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC