অনেকেরই প্রশ্ন থাকে, বিয়ে করবেন গুণী নারীকে, নাকি সুন্দরী নারীকে? ধর্মীয় বিধান ও পারিবারিক বন্ধন হিসেবে পরিচিত বিয়ের মাধ্যমে পুরুষ ও নারীর মধ্যে স্থাপিত হয় জীবনযাত্রার নতুন অধ্যায়। মৃত্যু পর্যন্ত টিকে থাকলেও অনেকের সংসার ভেঙে যায় অল্প সময়েই।
বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন, যা জীবনের দীর্ঘতম যাত্রা। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য শুধু সৌন্দর্যই যথেষ্ট নয়, বরং একজন জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন মেয়েতে থাকা উচিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী।
কোন ধরণের নারীকে বিয়ে করা উচিত?
ধৈর্য:
ধৈর্যশীল নারী সংসারের সকল ঝড়ঝঞ্ঝা সহজেই মোকাবেলা করতে পারেন। তারা পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে জানেন এবং সহজে হতাশ হন না। ধৈর্যশীল জীবনসঙ্গী সংসারে সুখ ও শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করেন।
চরিত্র ও মূল্যবোধ:
একজন ভালো স্ত্রীর চরিত্র হওয়া উচিত সৎ, ন্যায়পরায়ণ, এবং দায়িত্বশীল। তার মূল্যবোধগুলো স্পষ্ট ও দৃঢ় হওয়া উচিত, যা পারিবারিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
শিক্ষা ও বুদ্ধিমত্তা:
শিক্ষিতা নারী বুদ্ধিমতী, সচেতন এবং আত্মনির্ভরশীল হয়। সে জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সক্ষম হয় এবং সন্তানদের শিক্ষাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভালোবাসা ও সহানুভূতি:
স্ত্রীর ভালোবাসা ও সহানুভূতি স্বামীর প্রতি আস্থা ও নিরাপত্তা বোধ জাগ্রত করে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে দাম্পত্য জীবন আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।
সরল ও সত্যবাদী:
সারাজীবনের সংসার সুন্দরভাবে চালানোর জন্য সরল ও সত্যবাদী নারীকে বিয়ে করা উচিত। মিথ্যাবাদী স্ত্রীর সাথে সংসারে শান্তি থাকা কঠিন।
ধর্মবিশ্বাসী:
ধর্মান্ধ নয়, ধর্মবিশ্বাসী নারী সংসারের জন্য মঙ্গলজনক। জীবনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক থাকে।
সংসারী:
যেসব নারীর সংসারে মন নেই, তারা কখনোই সুখী সংসার গড়ে তুলতে পারে না। তাই সংসারী নারীকেই বিয়ে করা উচিত।
দায়িত্ববান:
সংসারে সকলের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারে এমন নারীকেই বিয়ে করা উচিত।
সৌন্দর্য:
শারীরিক সৌন্দর্য অস্থায়ী হলেও, মানসিক সৌন্দর্য চিরস্থায়ী। সৎ, ন্যায়পরায়ণ, দয়ালু ও ভালোবাসাশীল মনের নারী সর্বদা সুন্দর।
সুন্দর ব্যক্তিত্ব ও আচরণ:
স্ত্রীর সুন্দর ব্যক্তিত্ব ও আচরণ পরিবারে আনন্দ ও প্রফুল্লতা বয়ে আনে। তার আন্তরিকতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ সকলের মন জয় করবে।
পরিচ্ছন্নতা:
পরিচ্ছন্নতা একজন নারীর সুন্দর চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। পরিচ্ছন্ন নারী নিজেকে, পরিবার ও পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখে।
মিতব্যয়ী:
মিতব্যয়ী নারী অর্থের মূল্য বুঝে সংসার পরিচালনা করে। সে অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলে এবং পরিবারের জন্য সঞ্চয় করে।
মনে রাখবেন শুধু পুরুষেরাই নয়, নারীদেরও জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত। এতে করে উভয় পক্ষই সুখী দাম্পত্য জীবনযাপন করতে পারবে।