জানুয়ারি ১৬, ২০২৫

বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

এইচএমপিভি ভাইরাস থেকে বাঁচতে এই সাবধানতাগুলো মেনে চলুন

Rising Cumilla - Sick
প্রতীকি ছবি/ফ্রি পিক

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের মতোই এবার নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে এইচএমপিভি ভাইরাস। এই ভাইরাসটিও করোনার মতোই হাঁচি-কাশি থেকে ছড়িয়ে পড়ে এবং শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে।

তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই এই ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস?

আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’ সিডিসির মতে, এইচএমপিভি মূলত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দরজার হাতল, লিফটের বাটন, চায়ের কাপ ইত্যাদি স্পর্শ করার পর সে হাত চোখে, নাকে বা মুখে দিলেও এই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।

কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন?

হাত পরিষ্কার রাখুন: বাইরে থেকে আসার পর বা কোনো কিছু র্স্পশ করার পর ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে। হাত ধরার ব্যবস্থা না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।

মাস্ক পরুন: বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। মাস্ক এমন ভাবে পরতে হবে যাতে নাক মুখ ভালো করে ঢাকা থাকে।

রেসপিরেটরি ম্যানার্স মেনে চলুন: হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় নাক মুখে হাত বা কনুই দিয়ে ঢেকে দিন। এ ছাড়াও টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করতে পারেন।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: দরজার হাতল, আলোর সুইচ, স্মার্টফোন এবং কিবোর্ডের মতো বারবার স্পর্শ করা জিনিসগুলো পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করুন।

অসুস্থ ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলুন: অসুস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে যাদের এ সময় সর্দিকাশি জনিত সমস্যা আছে।

অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন: জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট অনুভব হলে বাইরে হওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসাসেবা নিন।

মনে রাখবেন, সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করেই এইচএমপিভি ভাইরাস থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।