জানুয়ারি ১২, ২০২৫

রবিবার ১২ জানুয়ারি, ২০২৫

এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা

প্রতীকী ছবি/গ্রাফিক্স: রাইজিং কুমিল্লা

এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে চীনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। জানা গেছে, বাংলাদেশে আক্রান্ত রোগী একজন নারী, যার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকার।

এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ভাইরাসটির প্রকোপ বাড়ায় বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্কতা জারি করেছে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছে।

আজ রোববার অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদের সই করা নোটিশে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো—

১। শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহার করা।

২। হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।

৩। ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া।

৪। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা ও কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।

৫। ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।

৬। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ না ধরা।

৭। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকা। প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতো ফ্লুয়ের উপসর্গ সৃষ্টি করে, যা সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নাই। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।

তারা আরও বলেছে, বহু দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন।

এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, দেশের সব বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সব বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নোটিশে বলা হয়েছে, চীনসহ উপমহাদেশে বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন: হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।