নভেম্বর ২৩, ২০২৪

শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলটিমেটাম

উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলটিমেটাম
উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলটিমেটাম। ছবি: প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী রানার পদত্যাগ চেয়ে আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম। আগামী ১১/৮/২৪ এর মধ্যে ভিসি ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক এম এইচ আবির বলেন, ভিসি ও প্রক্টর কে। তারা কিসের দালাল, কাদের ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তা সবার জানা। ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করতে সন্ত্রাসী বাহিনীর লালনকারী ব্যক্তিরা কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকার অধিকার রাখে না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আগামী ১১ তারিখের মধ্যে ভিসি ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ করতে হবে। যদি না করেন তাহলে তাদের পদত্যাগের ব্যাপারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামবে।’

এ বিষয়ে শাহাদাত তানভীর রাফি নামে এক শিক্ষার্থী বলেন,১১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা, টিশারশেল গ্যাস নিক্ষেপ, গুলি বর্ষণ— এসকল কিছুর দায় প্রশাসনের। ওই দিন সংঘর্ষে ২০ জনের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। প্রশাসন সেদিন নীরব ভূমিকা পালন করেছে। যার সাক্ষী প্রতিটি শিক্ষার্থী। ১৮ জুলাই প্রক্টরিয়াল বডির কোন দেখাও পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে এ সবকিছুর দায়ভার তাকে নিতে হবে। এদিকে প্রক্টরিয়াল বডিও এই দু’দিন কোন ভূমিকা পালন করেনি। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তাই উপাচার্য ও প্রক্টররিয়াল বডির প্রশাসনিক পদে থাকার কোন অধিকার নেই। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।