
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে পর্যটকদের কাছে দিন দিন আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়ে উঠছে গোমতী নদীর দুই তীর। কুমিল্লা অংশে দীর্ঘ ৯৫ কিলোমিটার এ নদীর দুই ধারে বিশাল চর, চরের পাড়ের প্রকৃতি ও নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে তোলা হয়েছে ছোট ছোট কটেজ। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকেও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে গোমতীর দুই পাড়।
এবার দর্শনার্থীদের আনন্দের যাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে আদর্শ সদর উপজেলার চানপুর ব্রিজ সংলগ্ন ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির কাছে গড়ে উঠা ‘উপল ল্যান্ড’ কুমিল্লাবাসীর জন্য নতুন প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
শহুরে কোলাহল থেকে সরে এসে নিভৃতে সময় কাটানোর জন্য এখানে আছে ফুডকোর্টের পাশাপাশি আছে নানা খেলার আয়োজনও।
বিনোদন কেন্দ্রটি দেখতে যেমন
উপল ল্যান্ডে প্রবেশের আগের নদীকেন্দ্রিক গাছগাছালি যুক্ত পরিবেশ আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে। রয়েছে ইনডোর ও আউটডোর বিশাল ডাইনিং কিংবা বসে প্রাণ খুলে আড্ডা দেওয়ার সুব্যবস্থা। এছাড়াও রয়েছে পার্কিং স্পট।
রয়েছে নানান খেলাধুলা
শিশুদের জন্য নানা রকম আয়োজন আছে ইনডোর গেম জোনে। স্লাইডস, বাউন্সি ক্যাসল, আলটিমেট বিগ পাঞ্চ, সুপার বাইকস, স্নোক্রস, স্টর্ম শুটিং গেইম খেলে ও গাড়ি রাইড করে শিশুরা সময় কাটাতে পারে।

শুধু আনন্দ করার জন্যই নয়, শিশু ও পরিবারের সবার সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটানোর জন্যও উপল ল্যান্ডে যেতে পারেন। এছাড়া প্রাপ্তবয়ষ্কের জন্যও রয়েছে নানান আয়োজন।
ফুডকোর্ট
আনন্দের সাথে ক্ষুধা মেটানোর জন্য রয়েছে ফুডকোর্ট। ইনডোরে বসে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আউটডোরেও বসে খাবার খাওয়া যাবে।
উপল ল্যান্ডের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আহসান (উপল) বলেন, ‘এই বিনোদন কেন্দ্রটি করা হয়েছে বাচ্চাদের নির্মল আনন্দের জন্য। কুমিল্লায় বাচ্চাদের তেমন কোন ভালো খেলার জায়গা নেই। কুমিল্লা রেমিট্যান্স, শিক্ষা সব দিক থেকে এগিয়ে কিন্তু এই দিকটায় কেন পিছিয়ে থাকবে। এই চিন্তা থেকেই আমি এটা করেছি।’
এছাড়া তিনি নিরাপত্তার বিষয়ে বলেন, বিনোদন কেন্দ্রটির পাশেই ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, দারোগা থেকে শুরু করে পুলিশের সদস্যরা কিছুক্ষণ পরপর টহল দিয়ে যায়।