
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেল সেতুটি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে যোগাযোগ, বাণিজ্য এবং অর্থনীতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম এই সেতুর উদ্বোধন করেন। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি, জাপানের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকা’র দক্ষিণ-এশিয়া বিষয়ক মহাপরিচালক ইতো তেরুয়ুকি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন।
এই সেতুটি ৫০টি পিলার এবং ৪৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত হয়েছে। এটি যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে অবস্থিত। দেশের দীর্ঘতম ও আধুনিক এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে রাজশাহী থেকে সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে এই সেতু অতিক্রম করে। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর সময় এটি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সেতুটি অতিক্রম করে। এতে সেতুটি পার হতে সময় লেগেছিলো প্রায় সাড়ে ৩ মিনিট।
এই সেতুটি নির্মাণে ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যার ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং বাকি অর্থ সরকার দিয়েছে।
এই সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের সাথে ঢাকার রেল যোগাযোগ আরও সহজ ও সময় সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবে আরও এক ধাপ।